রোববার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিন খেলাপি ঋণের জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব, আমি হাইকোর্টে যাব, সুপ্রিম কোর্টে যাব।’
জাহাঙ্গীর আলম রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্দেশে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী জামিনদার কখনো ঋণখেলাপি হয় না। তা ছাড়া খেলাপি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের জন্য ইতিমধ্যে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে এবং আবেদন করেছে। আমি একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমার নিজের জমি বন্ধক রেখেছিলাম। আমি ওই টাকা নিজের জন্য নিইনি এবং প্রতিষ্ঠানটি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছে।’ তার পরও তাঁর মনোনয়ন বাতিল করাকে তিনি অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যায়বিচার আশা করতে পারি কি না, তা দেশবাসীর কাছে জানতে চাই।’
মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ এবং নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী অন্যান্য মেয়র, কাউন্সিলর পদপ্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।