কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলার প্রধান আসামী শহিদুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৮এপ্রিল) দুপুরে আদালতে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবি এড. মোঃ আমির হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্রে, ২০২১ সালে ২২ ডিসেম্বর ঈদগাওয়ের নতুন অফিস এলাকার মৃত আজিজুর রহমান প্রকাশ পেরতা আজিরন এর ছেলে শহিদুল হক তার স্ত্রীর- কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শহিদুল হক তার স্ত্রী জিসান আক্তারকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনা ২ কন্যা সন্তান দেখে ফেলায় তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায় শহীদুল ইসলাম। তখন থেকে শহিদুল হক ও তার পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।
বাদি পক্ষের আইনজীবি মোঃ আমির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নিহত জিসান আকতারে মা মোহছেনা আকতার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো প্রধান আসামী শহিদুলসহ অন্যান্য আসামীরা। এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল হাই কোর্টের বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারক মোহাম্মদ সেলিম এর বেঞ্জে জামিনের জন্য আবেদন করলে শহীদুল হককে চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালতে আত্মনমর্পণ করার আদেশ দেন।
তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী কক্সবাজার জজকোর্টে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক শহীদুল হকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।