সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মাওলানা আবদুল খালেক জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাকবৈঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও ডিগলিয়া পালং রহমানিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক পরিচালক মাওলানা আব্দুল খালেক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি ৫ মে ২০২৫, সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সোমবার (৫মে-২০২৫) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ডিগলিয়া পালং গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজার ময়দানে হাজারো মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী, সাবেক শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসজল চোখে প্রিয় শিক্ষককে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত হন।

কেউ কেউ জানাজা শুরুর অনেক আগেই মাঠে এসে অবস্থান নেন, যেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন প্রিয় মানুষটিকে। মাওলানা আবদুল খালেক হুজুর ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। দীর্ঘ তিন দশকের শিক্ষকতা জীবনে তিনি শুধু শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিয়েছেন শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে। তার হাতে গড়া প্রজন্ম আজ সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, হুজুর ছিলেন নিরহংকারী, বিনয়ী ও পরোপকারী মানুষ। ছাত্রদের ভালবাসতেন নিজের সন্তানের মতো। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন আলোকবর্তিকা হারালাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে শোকবার্তার ঢল। সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, স্যার আমাদের শুধু পড়াতেন না, মানুষ হতে শেখাতেন। তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ইন্তেকালে উখিয়ার শিক্ষা, সমাজ ও ধর্মীয় অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
প্রেরক
আয়ুবুল ইসলাম
সম্পাদক
দৈনিক আজরেক দেশবিদেশ

পূর্বের খবর” বাংলাদেশ কে আমরা সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”