রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে বিট অফিসার মঞ্জুর মুর্শেদ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ডাম্পার গাড়ি ও গাছ জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনেশপুর বিট অফিসার মঞ্জুর মুর্শেদ।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে রাত ১১টার দিকে টিম নিয়ে পাহাড়ে প্রবেশ করি। পাচারকারীরা গাছ গাড়িতে উঠিয়ে পাচার করার সময় বন বিভাগের লোকজন ফায়ার করে এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গাছসহ গাড়িটি জব্দ করে বিট অফিসে নিয়ে আসি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সোনামিয়ার নেতৃত্বে গাছ পাচার করে আসছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। বন উজাড় নিয়ে অনেকদিন ধরে তারা সরব হলেও বন বিভাগের ভূমিকায় তারা হতাশ ছিল। আজ একটি গাছভর্তি গাড়ি তারা আটক করেছে। গাছ পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে এভাবে বন উজাড় হতে থাকবে।
সম্প্রতি মহেশখালীতে পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোকে কেন্দ্র করে বন বিভাগ মামলা করে। এতে সোনামিয়া, ছাত্রলীগের পলাতক নেতা সাইফুল ও সেফায়েত জড়িত বলে জানা যায়।
কিন্তু শুধুমাত্র সেফায়েতকে আসামী করে বাকি অভিযুক্তদের বাচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। সোনামিয়াকে আসামী না করায় সে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে বন বিভাগের জব্দ করা গাছ পাচার শুরু করছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী রাকিব হাসান বলেন, আমার দেওয়া তথ্যমতে বিট অফিসার মঞ্জুর মুর্শেদ গাছ পাচারের সময় গাছভর্তি গাড়িটি জব্দ করে।
রাকিব হাসান আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালীতে নিলাম, অকশনের নামে এবং রাতের অন্ধকারে বন উজাড় করে গাছ পাচার করছিল পাচারকারী সিন্ডিকেট। সম্প্রতি বন উজাড়ের প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গে থাকা স্থানীয় যুবক এনামের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে সোনামিয়া ও তার বাহিনী।
কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় সে আরো দূর্ধর্ষ হয়ে উঠছে। বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিয়ে বনকে রক্ষা করতে হবে। অন্যতায় মহেশখালীতে জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হবে।