প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত চারদিনেই প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২৬৪ জনের। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৬১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো গত চারদিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গতকাল সোমবার (৯ আগস্ট) ২৪৫ জন, রোববার (৮ আগস্ট) ২৪১ জন, শনিবার (৭ আগস্ট) ২৬১ জন, শুক্রবার (৬ আগস্ট) ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়। এই চারদিনের হিসাবে মোট মৃত্যু দাঁড়ায় ৯৯৫ জন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত ৭ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়।
এদিকে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ১৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৮ হাজার ৪১৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৭ হাজার ৪২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮২ লাখ ১২ হাজার ৪১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ৯০৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬৪ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের একজন, বিশোর্ধ্ব ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৮৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৮ জন, আশি-উর্ধ্ব ১২ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী পাঁচজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৯২ জন, চট্টগ্রামে ৬০ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন, খুলনায় ২৭ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।