পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা ঘা-এ ব্যান্ডেজ না করে একেবারে ক্লিন করছি।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের কনস্টেবল হতে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের জন্য পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেউ কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারতাম, ইচ্ছা করলে ঘা-এ ব্যান্ডেজ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা এর মধ্যে নাই, এসব একেবারে ক্লিন করতে চাচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে আইজিপি বলেন, আজকের দিনটি প্রশিক্ষণের দিক থেকে পুলিশের জন্য একটি বিশেষ দিন। আজ পুলিশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে বছরে যেন অন্তত একবার ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়। আমরা সেই লক্ষ্যে পুলিশের ২ লাখ ১২ হাজার সদস্যকে বছরে একবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।
পুলিশের সব ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে একযোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে জানিয়ে আইজিপি ড. বেনজীর বলেন, প্রতি সপ্তাহে প্রতি ব্যাচে আমরা ৪ হাজার ৩১৯ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। সে হিসেবে এ বছরে ১৪ সপ্তাহে ৬০ হাজার ৬৬৬ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো। সামনের বছর থেকে সারা বছরব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলমান থাকবে। পুলিশের সব সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে ৪৮ সপ্তাহ প্রয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পদমর্যাদার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বছরে এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এএসপি এবং তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি (বিপিএ) সারদায়, সাব-ইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিপিএ, টিডিএস, টিটিএস, এসটিএস, পিএসটিএস সব পিটিসি ও ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।
কনস্টেবল, নায়েক এবং এএসআই পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের তত্ত্বাবধানে দেশের ১০৮টি পুলিশ ইউনিটের প্রশিক্ষণ ৫৫ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
বিপিএ, পিটিসি, সব ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারসহ দেশের ১০৫টি পুলিশ ইউনিটের সব পদমর্যাদার প্রশিক্ষণ একযোগে শুরু হবে, যা পর্যায়ক্রমে সারা বছর চলমান থাকবে।