পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণমূখী সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ কক্সবাজারবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিতৃতিতে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অতিব তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ত্যাগ ও কুরবানির প্রেরণা নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে সমাগত। প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নির্দেশ পালনার্থে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম আ: স্বীয় পুত্র হযরত ঈসমাইল আ:-কে কোরবানি করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। তিনি আল্লাহর রাহে ত্যাগ ও কুরবানির মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ সে আদর্শ অনুসরণেই প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা হিসেবে পালন করে আসছে। ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা হলো পশু কুরবানির মাধ্যমে নিজের নফসের পশুকে কুরবানী করে প্রবৃত্তির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য, তার সন্তুষ্টি, নিজের অহংবোধকে বিসর্জন, মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং সেই সাথে আল্লাহর দেয়া বিধি-নিষেধ পালন করে পরিপূর্ণ মুমিন ও মুত্তাকী হওয়া।
তাই কোরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আর্ত-মানবতার মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ঈদুল আযহা আমাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। আমাদের জীবনে ইসলামের সুমহান আদর্শের অনূসরণ সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা সম্ভব। হযরত ইব্রাহীম আ. এর আদর্শে নিজেকে উজ্জীবিত করে শোষণমূক্ত, সমাজ গঠনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ এমন একটি সময়ে দেশবাসী ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশের মানুষ দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট। সাধারণ জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। মিয়ানমানের সৈন্যদের গুলির মুখে সেন্টমার্টিন এক প্রকার অবরুদ্ধ। চাল, ডাল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের ব্যাংক খাতসহ পুরো অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ফলে দেশ এখন অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বাজেট তৈরি করা হয় দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য। অথচ এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলনের পরিবর্তে সামাজিক বৈষম্য ও দলিয় লুটেরাদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।ফলে দেশ এখন দূর্বৃত্ত ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় ঈদুল আযহার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈমানী চেতনাকে উজ্জীবিত করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্র পূর্ণরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি