ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি ও সক্রিয়তা দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী পাঁচ বছরে নারীরা আরও বেশি সংখ্যায় মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নেতৃত্বের জায়গা শক্তিশালী করবেন।
শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে উইমেন ইন ডেমোক্রেসি (উইন্ড)-এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র বিনির্মাণে নারী: আমরা কি পেলাম’ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, “নারীরা হারিয়ে যায়নি। অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে আছে—আবার অনেকেই দেশে ফিরে একাডেমিয়া ও সামাজিক পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। এই ধারাই ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক কাঠামো বা ‘সেটেলমেন্ট’ পরিবর্তিত না হলে কোনো নীতিই বাস্তবে কার্যকর হতে পারে না। সমাজে ধর্ম, ঐতিহ্য, আইনি কাঠামো এবং আধুনিকতার যে জটিল সম্পর্ক রয়েছে, সেটি বোঝা ছাড়া নারী সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সরকার এককভাবে কোনো নীতি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে না। রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে হবে। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি—যেখানে তারা নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ও ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রোখসানা খান, সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনীম জারা, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাহেদুর রহমান, প্রফেসর তাসলিমা মির্জা, প্রফেসর সামিনা লুৎফা, ড. নাহরিন আই খান, মাহসিনা মমতাজ মারিয়া ও অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নীসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা।











































