দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের অনুষ্ঠিত “নতুন কুঁড়ি ২০২৫” প্রতিযোগিতা দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। শনিবার রামপুরার বিটিভি অডিটোরিয়ামে বিজয়ী শিশু–কিশোরদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “নতুন কুঁড়ির বিজয়ী শিশুশিল্পীরা যে প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশে অভিভাবক ও শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই নতুন কুঁড়িকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট স্মরণ
শিশুদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন—
“তোমরা অনেকেই সেই সময়ের ঘটনা দেখেছ। যেসব মানুষ শহীদ বা আহত হয়েছেন, তারা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, নতুন কুঁড়ি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে ছোটদের এগিয়ে যাওয়ার এক অনুপ্রেরণা।”
দেড় মাসেই আয়োজন সম্পন্ন
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, উপদেষ্টার সরাসরি তদারকির কারণে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে বিরতির পর বিশাল এই আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
বিটিভির পরিকল্পনা অনুযায়ী,
নতুন কুঁড়ির সব শাখার সেরা দশজন শিল্পী সরাসরি বিটিভির শিল্পী তালিকায় যুক্ত হবে,
আর ‘শিশুপ্রহর’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে শুধু নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত সেরা দশ।
শিশুশিল্পীদের প্রতি সচিবের প্রত্যাশা
বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, নতুন কুঁড়ির বিজয়ীরা ভবিষ্যতে শিল্প–সাহিত্য অঙ্গনে নেতৃত্ব দেবে এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরবে।
৭৩ জন পুরস্কৃত, আকর্ষণীয় সম্মাননা
ক ও খ—দুটি বিভাগে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৭৩ জন শিশুশিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়।
১ম স্থান : ২ লক্ষ টাকা
২য় স্থান : ১ লক্ষ টাকা
৩য় স্থান : ৫০ হাজার টাকার চেক, ট্রফি ও সনদ
এ ছাড়া দুই বিভাগের চ্যাম্পিয়ন—
প্রিয়সী চক্রবর্তী (‘ক’ বিভাগ) এবং
শুভমিতা তালুকদার (‘খ’ বিভাগ)
গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকার চেক ও ট্রফি গ্রহণ করে।
সংস্কৃতির প্রতি নতুন আস্থা
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, নতুন কুঁড়ির সফলতা প্রমাণ করেছে—বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চা টিকে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও পরিচিতি পাবে। তিনি আশা করেন, আগামী সরকারও এই প্রতিযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।











































