এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা, পোস্টার নিষিদ্ধ : আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের বিধিমালায় প্রচার-প্রচারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে — প্রথমবারের মতো নির্বাচনী পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ, এবং সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে।

🔹 কড়াকড়ি বিধান ও শাস্তি

বিধিমালা ভাঙলে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা, আর রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আরপিও অনুযায়ী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

🔹 প্রচারে নতুন নিয়ম

কোনো প্রার্থী তার আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না, যার দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ও প্রস্থ ৯ ফুটের বেশি নয়।

পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট বা ব্যানারে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুধুমাত্র ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে; অন্য সব আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ।

প্রচারের শব্দের মাত্রা সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার দিয়ে প্রচার চালানো যাবে না।

বিদেশে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ।

🔹 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার

ইসি বলেছে, প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাতে পারবে, তবে আগে অ্যাকাউন্ট আইডি, ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
সাথে কড়াভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে —

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বিভ্রান্তিকর বা বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি,

ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য বা চেহারা বিকৃত করে প্রচার,

ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার,

এবং কোনো ব্যক্তির চরিত্র হননমূলক বা মানহানিকর কনটেন্ট প্রকাশ।

এআই বা গুজবের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে তা নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

🔹 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক

প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে নির্ধারিত ফরমে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে, যেখানে তারা আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেবে।
বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থী প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন।

🔹 এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা

গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে সব প্রার্থীর একদিনে, এক মঞ্চে ইশতেহার বা ঘোষণাপত্র পাঠের সুযোগ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এই আয়োজন করবেন।

🔹 প্রার্থিতা বাতিলের প্রক্রিয়া

যদি কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ থেকে প্রতীয়মান হয় যে প্রার্থী বা তার এজেন্ট আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে, তাহলে কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেবে।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি আরপিও অনুযায়ী প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা, পোস্টার নিষিদ্ধ : আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান

বাসস রিপোর্ট | ১১ নভেম্বর ২০২৫, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের বিধিমালায় প্রচার-প্রচারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে — প্রথমবারের মতো নির্বাচনী পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ, এবং সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে।

🔹 কড়াকড়ি বিধান ও শাস্তি

বিধিমালা ভাঙলে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা, আর রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আরপিও অনুযায়ী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

🔹 প্রচারে নতুন নিয়ম

কোনো প্রার্থী তার আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না, যার দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ও প্রস্থ ৯ ফুটের বেশি নয়।

পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট বা ব্যানারে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুধুমাত্র ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে; অন্য সব আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ।

প্রচারের শব্দের মাত্রা সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার দিয়ে প্রচার চালানো যাবে না।

বিদেশে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ।

🔹 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার

ইসি বলেছে, প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাতে পারবে, তবে আগে অ্যাকাউন্ট আইডি, ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
সাথে কড়াভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে —

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বিভ্রান্তিকর বা বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি,

ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য বা চেহারা বিকৃত করে প্রচার,

ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার,

এবং কোনো ব্যক্তির চরিত্র হননমূলক বা মানহানিকর কনটেন্ট প্রকাশ।

এআই বা গুজবের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে তা নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

🔹 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক

প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে নির্ধারিত ফরমে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে, যেখানে তারা আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেবে।
বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থী প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন।

🔹 এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা

গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে সব প্রার্থীর একদিনে, এক মঞ্চে ইশতেহার বা ঘোষণাপত্র পাঠের সুযোগ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এই আয়োজন করবেন।

🔹 প্রার্থিতা বাতিলের প্রক্রিয়া

যদি কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ থেকে প্রতীয়মান হয় যে প্রার্থী বা তার এজেন্ট আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে, তাহলে কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেবে।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি আরপিও অনুযায়ী প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

গুরুত্বপূর্ণ দিক:
👉 পোস্টার নিষিদ্ধ,
👉 ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা,
👉 এআই ও ঘৃণাত্মক বক্তব্যে শাস্তি,
👉 বিদেশে প্রচার নিষিদ্ধ,
👉 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক,
👉 প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে।

 

গুরুত্বপূর্ণ দিক:
👉 পোস্টার নিষিদ্ধ,
👉 ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা,
👉 এআই ও ঘৃণাত্মক বক্তব্যে শাস্তি,
👉 বিদেশে প্রচার নিষিদ্ধ,
👉 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক,
👉 প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে।

এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা, পোস্টার নিষিদ্ধ : আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান

বাসস রিপোর্ট | ১১ নভেম্বর ২০২৫, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের বিধিমালায় প্রচার-প্রচারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে — প্রথমবারের মতো নির্বাচনী পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ, এবং সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে।

🔹 কড়াকড়ি বিধান ও শাস্তি

বিধিমালা ভাঙলে ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা, আর রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আরপিও অনুযায়ী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

🔹 প্রচারে নতুন নিয়ম

কোনো প্রার্থী তার আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না, যার দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ও প্রস্থ ৯ ফুটের বেশি নয়।

পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট বা ব্যানারে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুধুমাত্র ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে; অন্য সব আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ।

প্রচারের শব্দের মাত্রা সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার দিয়ে প্রচার চালানো যাবে না।

বিদেশে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ।

🔹 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার

ইসি বলেছে, প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালাতে পারবে, তবে আগে অ্যাকাউন্ট আইডি, ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
সাথে কড়াভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে —

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বিভ্রান্তিকর বা বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি,

ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য বা চেহারা বিকৃত করে প্রচার,

ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার,

এবং কোনো ব্যক্তির চরিত্র হননমূলক বা মানহানিকর কনটেন্ট প্রকাশ।

এআই বা গুজবের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে তা নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

🔹 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক

প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে নির্ধারিত ফরমে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে, যেখানে তারা আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেবে।
বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থী প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন।

🔹 এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণা

গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে সব প্রার্থীর একদিনে, এক মঞ্চে ইশতেহার বা ঘোষণাপত্র পাঠের সুযোগ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এই আয়োজন করবেন।

🔹 প্রার্থিতা বাতিলের প্রক্রিয়া

যদি কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ থেকে প্রতীয়মান হয় যে প্রার্থী বা তার এজেন্ট আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে, তাহলে কমিশন তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেবে।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি আরপিও অনুযায়ী প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

গুরুত্বপূর্ণ দিক:
👉 পোস্টার নিষিদ্ধ,
👉 ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা,
👉 এআই ও ঘৃণাত্মক বক্তব্যে শাস্তি,
👉 বিদেশে প্রচার নিষিদ্ধ,
👉 অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক,
👉 প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে।

 

পূর্বের খবর📰 কক্সবাজারে ভিপি বাহাদুরের অঙ্গীকার: নাগরিক সেবায় ভোগান্তি লাঘবে বাস্তব পদক্ষেপ
পরবর্তি খবরগণভোট ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়, সংবিধান অনুযায়ী ভোট ২০২৯ সালেই: হামিদুর রহমান আযাদ