হত্যার পর থানায় হাজির হয়ে বললেন আমি খুন করেছি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় কথা কাটাকাটির জেরে আলম শেখ (৫৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কালিয়া কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই এলাকার মৃত জুড়ান শেখের ছেলে।

হত্যার পর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (২৫) সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হাজির হয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে আমি মানুষ খুন করেছি। আমাকে আপনারা ধরেন। স্থানীয়রা জানান, খুনি সাইফুল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে থানার ভেতর এসে সাইফুল ইসলাম নামের ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে আমি মানুষ খুন করেছি। এরপর ডিউটিরত পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এ হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, ঘাতক জানায় আজ বেলা ১২টার দিকে কান্দাপাড়া হাটখোলার একটি চায়ের দোকানে আলম শেখ বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় সাইফুল ইসলাম সেখানে গিয়ে হাজির হয়। এরপর তুচ্ছ ঘটনায় আলমের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলমের কপালে আঘাত করে। আলম ওই অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সাইফুল তাকে ধাওয়া করে ধরে ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে গলাকেটে হত্যা করে। এরপর নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

ওসি সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, আলমের সংসার চলে দুটি অটোরিকশা ভাড়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় বসবাস করেন। তার দুই স্ত্রী ও ৪ মেয়ে রয়েছে।

উৎসঃ   দেশ রূপান্তর
পূর্বের খবরঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের সময়সূচি
পরবর্তি খবররাতের অন্ধকারে কক্সবাজার সরকারি কলেজের জায়গা দখল!