সাবেক স্বাস্খ্যমন্ত্রী রুহুল হক : প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাত আজ বিশ্বে প্রশংসনীয়

ভিনিউজ – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের স্বাস্থ্য খাত আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। করোনা মোকাবেলায় আমরা বিশ্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছি। বান কি মুন জাতিসংঘের মহাসচিব থাকাকালে কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগ দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এ খাত নিয়ে নানা উদ্যোগের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত অনুকরনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ভারত চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অগ্রগতি লাখ করেছে। বাংলাদেশি তরুণ ডাক্তারদের ভারত ও সিঙ্গাপুরের ডাক্তারদের কাছে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে হবে।

গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ, কলকাতার মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল এবং রোটারি ক্লাব অফ ইস্কাটন ঢাকার যৌথ উদ্যোগে হেলথ টক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এখনো পোলিওমুক্ত হয়নি। এটা তাদের মানসিকতার সমস্যা। পোলিওকর্মী ভ্যাকসিন দিতে বাড়িতে গেলে তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হারও প্রায় শূন্যের কোটায়। এটা নিয়ে রোটারি ক্লাব যথেষ্ট কাজ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক সারা বিশ্বে সুনাম কুরিয়েছে। এ সময় বাংলাদেশি তরুণ ডাক্তারদের ভারত ও সিঙ্গাপুরের ডাক্তারদের কাছে অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ভারতের প্রাইভেট সেক্টর যেভাবে ডেভলপ করেছে বাংলাদেশে তা হয়নি। এটা হওয়া উচিত। বাংলাদেশে আগে মায়ের গর্ভে সন্তান আসার পর সন্তান জন্ম নিয়েই মারা যেত। এরপর মা নিজেও মারা যেত। আজ সেই চিত্র নেই। আমাদের দেশের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও জেলা স্বাস্থ্যসেবা হসপিটালগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী করা হয়েছে। তবে উচ্চ লেভেলে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বড় পরিবর্তন প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর আ স ম সামসুল আরিফিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পৃথিবীর যেসব দেশ বা পরিবার মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল আমরা তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার চেষ্টা করছি। জাতির পিতা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর ৪০০ ব্যাক্তি, পরিবার ও দেশকে সম্মানিত করেছিলেন। আমরা চেষ্টা করছি এসব পরিবার ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশের পাশে থাকুক।

রোটারিয়ান মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটিং চ্যাপ্টারের চিফ কো-অর্ডিনেটর মেজর (অব.) এ এস এম শামসুল আরেফিন। আরো উপস্থিত ছিলেন এরোমা দত্ত এমপি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার উত্তম বড়ুয়া, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এম এ ওয়াব, রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মুনতাসির বিল্লাহ ফারুকী, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, শাহে আলম এমপি, সাবেক এমপি হারুন আর রশিদ, সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ,ভিনিউজ সম্পাদক জয়ন্ত আচার্য প্রমুখ।

ভারতের তিন স্বনা্মধন্য তিন জন ডাক্তার নিউরোলোজীর ড: এল এন ত্রিবেদী , অথোপেডিকসের ডা: বিকাশ কাপুর, গাওনোলজীর অরুনভো রায় মেডিকেল সেক্টরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেণ । উপস্থিত সুধীজন মনোমুগ্ধ হয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন ।

রোটারি ক্লাব অব স্কাটনের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদের সূচনাবক্তব্য ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ ইউ বিপ্লবের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

পূর্বের খবর১২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জামায়াতের
পরবর্তি খবরসরকারবিরোধী দলগুলোর সাথে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত বিএনপির