ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট নিয়ে বিতর্কের মাঝে গতকাল (06-01-2020) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইভিএম প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যন্ত্রটির নানা খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
এ সময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা ইভিএম যন্ত্রে ডেমো ভোটে অংশ নিয়ে ইসির প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেখিয়ে দেন ইভিএমে কীভাবে একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারেন।
দেখা গেছে, একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্মার্টকার্ড বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দ্বারা কন্ট্রোল ইউনিটে ভোটার শনাক্তের পর তাকে ভোটদানের জন্য বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার বা প্রভাবশালী প্রার্থীর এজেন্ট ব্যালট ইউনিটে পছন্দের প্রতীকে চাপ দিয়ে কনফার্ম বাটন চাপার সুযোগ পান। ভোটারকে তখন ভোটদান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়।
প্রদর্শনীতে কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইভিএম মেশিনে জাল ভোট দেওয়া যায় না। তখন কয়েকজন সাংবাদিক কয়েকটি নির্বাচনের উদাহরণ টেনে প্রশ্ন করেন, ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে ব্যালট ইউনিট সচল করার পর তাকে ভোট দিতে না দিয়ে অন্য কেউ ঐ ভোট দিয়ে দিলে তা ঠেকানোর কোনো উপায় আছে কি না?
এর জবাবে ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তবে ব্যালট ইউনিটে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পদ্ধতি নেই।
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) দুটি ইউনিটি। একটি কন্ট্রোল ইউনিট, অন্যটি ব্যালট ইউনিট। এর মধ্যে ব্যালট ইউনিটটি অরক্ষিত। কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিংয়ের পর ব্যালট ইউনিটে গিয়ে একজনের ভোট দিতে পারেন অন্যজন। কেননা, কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গারের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যালট ইউনিটে তা নেই।
বিভ্রান্তি ছড়াবেন না: ওবায়দুল কাদের
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, হেরে গেলে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। তবে বিএনপির নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ইভিএম এর বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আজ সাভার উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও শিশুবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে সবধরণের সহায়তা করবো।
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। গরিব মানুষ কষ্ট পাবে না। এই লক্ষ্যে আমরা জনগণের সমর্থন চাই।#
পার্সটুডে