শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান জানান, ইউনাইটেড উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরি বা গায়েব হয়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজনই ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে। তাছাড়া এ নিয়ে বিমান সংস্থাটি কোনো অভিযোগও দেয়নি। তিনি দাবি করেন, বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। এ দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট এয়ারলাইন্সের।
ইঞ্জিন গায়েবের অভিযোগ ওঠার পর শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স¤প্রতি বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল ( বেবিচক) কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের পেছনে অ্যাপ্রোন এলাকায় কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। তথ্য সুত্র দৈনিক সমকাল।
এয়ারলাইন্স কোম্পানি পরিত্যক্ত এই জাহাজের ইঞ্জিন চুরি হয়েছে নাকি কোন উদ্দেশ্যে খুলে নেয়া হয়েছে ওই ইঞ্জিনের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ সহ বিভিন্ন ভাবে দেখা হচ্ছে খুঁটিনাটি। ডাম্পিং স্টেশনগুলোয় পুলিশ, কাস্টমস বা অন্য কোনো সংস্থার জব্দ করা গাড়ি ফেলে রাখলে রাতের আঁধারে ইঞ্জিন, চাকা কিংবা পার্টস গায়েব হওয়ার ঘটনা পুরনো। ডাম্পিং কর্মকর্তারা বলেন, নিরাপত্তায় নিয়োজিত জনবলের অভাবে তারা খোলা আকাশের নিচে থাকা এসব গাড়ির সুরক্ষা দিতে পারেন না। বাংলা ট্রিবিউন ।
কিন্তু সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানকারী ২১টি সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজের পেছনের রানওয়ে অ্যাপ্রোন এলাকায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েব হয়ে গেছে। পড়ে আছে উড়োজাহাজটির কঙ্কাল।
প্রায় পাঁচ বছর ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রাখার পর যে মুহূর্তে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ আকাশে ওড়ার চেষ্টা করছে, তখন স্পর্শকাতর বা সংরক্ষিত এলাকা থেকে ইঞ্জিন উধাওয়ের ঘটনায় তোলপাড় চলছে বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কেউ এর দায় নিতে চাচ্ছে না।
তথ্য সুত্র- এ্যাভিয়েশন নিউজ ডটকম।