যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্টরা সাধারণত দেশটির আইনপ্রণেতাদের কাছে তাদের নিয়োগকর্তার তথ্য তুলে ধরেন। তারা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোন দেশের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য আইন প্রণেতাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকেন। অনেক সময় তারা সাধারণ মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তারের জন্যও তথ্য তুলে ধরার কাজটি করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্টদের কাজ বেআইনি না হলেও বাংলাদেশে লবিং শব্দটির অর্থ তদ্বির বলে মনে করা হয়।
এ দেশে বেশিরভাগ মানুষই তদ্বিরকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্রেও লবিং কে কটাক্ষ করে অনেকে মজা করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের নাম প্রায় সবাই কমবেশি শুনেছেন। দাস প্রথা বিলুপ্ত করে তিনি যেমন অমর হয়ে আছেন তেমনি গণতন্ত্রের অন্যতম জনপ্রিয় সংজ্ঞাটিও তিনিই নির্ধারণ করে গেছেন। সেটি হলো- ‘গভর্মেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’ অর্থাৎ ‘জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার, জনগণের জন্য সরকার’।
জনশ্রুতি আছে আব্রাহাম লিংকনের কাছে গিয়ে নিজের ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত করার জন্য এক নারী একবার লবিং বা তদ্বির করছিলেন এভাবেঃ
‘এটা আমার দাবি, এ পদটা আমার ছেলের প্রাপ্য। আমার ভাই কেসিংটনে যুদ্ধ করেছেন, আমার চাচা ব্লাডেনসবার্গ যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে যাননি, আমার দাদা নিউ অরলিন্সে যুদ্ধ করেছেন আর আমার স্বামী তো মন্টেরে যুদ্ধে মারাই গেলেন।’
ভদ্রমহিলার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে লিংকন বললেন, ‘ম্যাডাম, আমার ধারণা আপনার পুরো পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে। এবার অন্যদের একটু সুযোগ দেওয়া উচিত।’
লবিস্ট নিয়ে এই কার্টুনটি বেশ জনপ্রিয়ঃ
দুটি মুরগি গল্পগুজব করছে। এক সময় তারা মন খারাপ করে বসলো এই কথায় যে, তাদের মনিব যে কোন সময় তাদের জবাই করে খেয়ে ফেলতে পারে। তখন অন্য একটি মুরগি এসে তাদের অভয় দিয়ে বললো, ‘ভাবিস না, আমাদের নিয়োগ করা লবিস্টরা শেষমেশ আমাদের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের তালিকায় যোগ করে ছেড়েছে। এখন কেউ আর আমাদের খেতে পারবে না।!
মুরগির খামার থেকে ক্লাসরুমে ফেরা যাক। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বুঝাচ্ছেন দেশের সরকার কিভাবে গঠিত হয়ঃ
মনে রাখবা- আমাদের সরকারের তিনটা শাখা আছে। ১. রাজনীতিবিদ ২. লবিস্ট আর ৩. মিডিয়া।
লবিস্ট নিয়ে এই কার্টুনটিও বেশ জনপ্রিয়ঃ
নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসেছে। সেখানে হরেক রকম দোকানে হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। দোকানের সাইনবোর্ডে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা আছে। যেমনঃ বার্গারের মূল্য ১ ডলার, স্যান্ডউইচের মূল্য ৫ ডলার, জুয়েলারির মূল্য ১০ ডলার। অন্যদিকে ইনফ্লুয়েন্স লেখা সাইনবোর্ডে মূল্য ১ বিলিয়ন ডলার লেখা রয়েছে!
আচ্ছা, মেলার কথা থাক! দুই বন্ধু জীবনের শেষ প্রান্তে কোন এক পানশালায় বসে মদ্যপান করছিলেন। তারা নিজেদের জীবনের সেরা সব ‘আফসোস’ নিয়ে গল্প করছিলেন। এক পর্যায়ে এক বন্ধু বললেনঃ
একদা আমি বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত চোরের দেখা পেয়েছিলাম। তার সাথে হ্যান্ডশেকও করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু তার অটোগ্রাফ নিতে পারিনি!
দ্বিতীয় বন্ধুটি অবাক হয়ে জানতে চাইলো, কেন? কেন?
প্রথম বন্ধু- কারণ, সে কোন এক নির্বাচনের আগে তার লবিস্টদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল।