ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আহ্বানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে আটকে দেয়া হয়। পরে সেখানেই তারা সমাবেশ করেন।
আজ সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল নিয়ে দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে গুলশানের দিকে রওনা হয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। এবং এখানেই তাদের কর্মসূচির ইতি ঘটে।
মিছিলটির নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দলের আমীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, মহানবী (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে নানা ধরণের অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মুসলমানদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে প্রস্তাব এনে ফ্রান্সের নিন্দা করতে হবে।
মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা- ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ম্যাঁকোর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শান্তিনগর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপন করা, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে দেয়াসহ কয়েক দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এসব দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে এক শিক্ষক মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র দেখালে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।