
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই মাদরাসাছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙুচুর করেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মুহিদ উদ্দীন।
রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুহিদ উদ্দীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় মাদরাসার দুই শিক্ষক ও দুই মাদরাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ (রা.) মাদরাসার শিক্ষক ও জেলার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল-আমিন (২৭), শিক্ষক ও পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৬) এবং একই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিপুর উপজেলার মিংপুর গ্রামের সমসের মৃধার ছেলে মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠন (১৯) ও জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকর মো. সামছুল আলমের ছেলে মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।
রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আবু বকর ও নাহিদ নামে দুই মাদরাসাছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে।
এদিকে বিকেলে কুষ্টিয়ায় এসপি তানভীরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল শনিবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাওলানা মামুনুল হক ও সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবু বক্কর ও নাহিদ গত শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে আবু বক্কর ও নাহিদ একসঙ্গে মাদরাসা থেকে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচরাস্তার মোড়ে যান। ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যবহৃত বাঁশের মই বেয়ে দুজন উপরে উঠেন। এরপর নাহিদ পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করেন। দুজন মিলে তখন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। ৮ মিনিট ধরে ভাঙচুরের পর তারা আবার হেঁটে মাদরাসায় ফিরে আসে। শনিবার সকালে তারা বিষয়টি মাদরাসার শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফকে জানান। শিক্ষকদ্বয় দুই ছাত্রকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
ব্রেকিংনিউজ