মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার সংক্রান্তে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি শরীফ বাদশার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 2 জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে কয়েক দিন আগে দেখতে পাই যে আমাকে নাকি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। তিনি জানতে চান এটা কোন ধরনের বহিষ্কার? কি কারণে আমাকে বহিষ্কার করল? কারা আমাকে বহিষ্কার করল? আমি কিছুই জানিনা অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আমাকে বহিষ্কার করেছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার মানহানি করতে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগে অনুপ্রবেশকারী কিছু হাইব্রিড আওয়ামী লোকজন আমার পিছু লেগেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি মহেশখালী উপজেলা শাখার সহসভাপতি। আমাকে বহিষ্কার করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী আগে শোকজ নোটিশ দিতে হবে, তিনি আরো বলেন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমার একজন চাচকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে আমরা তিনজন চাচা মুক্তিযোদ্ধা আমরা সম্পূর্ণ আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি আরো বলেন বর্তমানে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলতেছে এটি নিয়ে আমাকে বহিষ্কারের গুন্জন। এখানে আমার অপরাধ টা কি? আর আমাকে বহিষ্কারের যোগ্যতা তাদের আছে কিনা? তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ স্বাধীনের সময় আমার বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগের নমিনী মেম্বার। আমার বড় আব্বা ছিলেন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান। আমার বড় ভাই ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি। বিএনপি জোট সরকারের সময়ে আমরা মিটিং মিছিল নিয়ে সরব ছিলাম। তিনি আরো বলেন ওই হাইব্রিড কুচক্রী মহল আমাকে হয়রানি ও যেকোনোভাবে অ্যাটাক করতে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এ ব্যাপারে সম্মানিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক ভা্ইদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শহিদুল কাদের বলেন চলমান বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জেলা আওয়ামী লীগকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা মূলত মহেশখালীতে এ্ই নেতাসহ মোট 5 জনকে বহিষ্কার করেন।