মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়ায় আগামী ১৫ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মাঝে বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হাই-পিপিএম উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতিক বরাদ্ধ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন.. উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাশ, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী’সহ প্রার্থীদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্ধ সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে বড় মহেশখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী, মোস্তাফা আনোয়ার (নৌকা প্রতিক), কালারমারছড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী, তারেক বিন ওসমান শরীফ (নৌকা প্রতিক) পেয়েছেন। এছারা, ২টি ইউনিয়নের বাকি সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে আনারস, ঘোড়া, ঢোল, টেলিফোন, মটরসাইকেল, অটোরিক্সা, চশমা ও টেবিল ফ্যান প্রতিক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, একইদিন উপজেলার ২টি ইউনিয়নে দলীয়’সহ চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা ৩৪ জন ও সাধারন সদস্য ১৪২ জন সর্ব মোট-১৯৩ জন প্রার্থীদের মাঝে উপজেলা নির্বাচন অফিস বিভিন্ন প্রতিক বরাদ্ধ সম্পন্ন করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন,নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে মহেশখালী উপজেলার ২টি ইউনিয়নে নির্বাচন শান্তিপুর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যা কিছু করা দরকার তা সবই করা হবে। কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশাকরি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রার্থীদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন…মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হাই-পিপিএম বলেন- আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। যদি কেউ নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় বা প্রচারে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনে তৎক্ষনাৎ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।