ভারতের চক্রান্ত মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বুঝতে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘আজকে ভারত যে চক্রান্ত করছে, তা আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে টের পেয়েছিলাম। ওই সময়ে খালেদ মোশাররফ আমাকে বলেছিলেন যে ভারতের বাইরে গিয়ে যুদ্ধ না করলে আমরা কিন্তু সিকিম হয়ে যাব।’
আজ বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা ইতিহাসের কথা দিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করতে চাই। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যখন তার শেষ প্রান্তে, তাদের অবসান হতে যাচ্ছে তখন একজন শিক্ষাবিদ এ দেশে এসেছিলেন। উনার একটা অমর উক্তি আছে, “ভারতীয়রা গায়ের রঙে ভারতীয় থাকবে, কিন্তু আচার ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে সাহেবদের মতো ব্যবহার করবে”।’
এসময় ‘মোদির গায়ে থু থু না দিয়ে কালো পতাকা’ দেখাতে বলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মোদির গায়ে থু থু দেবেন না, কারণ থু থু অস্বাস্থ্যকর, পথ ঘাট নষ্ট হবে, তাকে কালো পতাকা দেখান। তার বিরুদ্ধে আজকে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। অন্তত চেষ্টা করা উচিত, প্রতিবাদ করা উচিত।’
ভারত আধিপত্যবাদ খুবই পরিকল্পিতভাবে করছে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রথম যেবার প্রধানমন্ত্রী হলেন সেবার আমি বুঝিয়েছিলাম যে ট্রানজিটটা দেবেন না, উনি আমার কথা শুনেছিলেন। কিন্তু ভারত এটা সহ্য করে নাই। ভারত এটা স্বরণ রাখে। দুর্ভাগ্যবশত বিএনপির নেতাদের খালেদা জিয়ার মতো মনোবল নেই।’
‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে ভারত এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ থাকবে না। যেভাবে রাজনীতির চরিত্রও হরণ করা হচ্ছে। ফেনী নদীর ওপর দিয়ে ভারতকে ব্রিজটা দিয়ে খুব ভুল করেছে সরকার। বিএনপিকে বলি, তারা কীভাবে হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ফেনী নদীর বিষয়ে রাজি করালো’, যোগ করেন তিনি।