বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২৭ লাখ ছুঁই ছুঁই

বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ৪৯৭ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩২ জন। আর এ মহামারি থেকে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪৯ জন মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৫ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৪৩১ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭ জন।

এদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩০২ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১০ লাখ ৬১ হাজার ১৭০ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৬ জন। মারা গেছেন ৯৩ হাজার ৩৬৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪০ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫ জন।

শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩১ জন। আর ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৭১ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, স্পেন অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

পূর্বের খবররামু সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
পরবর্তি খবরডলার টাকায় রূপান্তরে হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে হাজার কোটি টাকা!