দেশব্যাপী প্রশংসায় ভাসছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। এ বছর বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন খুবির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের এই শিক্ষক ও গবেষক। এরপরই তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যেমন আলোচনা চলছে, তেমনি বাংলাদেশের অধিকাংশ অনলাইন পোর্টাল, পত্রিকায় তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মাঝে এক ধরনের আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে উপাচার্যকে নিয়ে প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অন্যদেরও।
মো. ইমরান খান নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লেখেন, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় যখন নানা সাবজেক্টের ব্যানারে বিসিএস, ব্যাংকার্স তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে তখন দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় খুবি ধীরে ধীরে গবেষণা ও উদ্ভাবনীতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এর জন্য উপাচার্য স্যারের চেষ্টাই মুখ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, এ রকম একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক এবং একাডেমিক ব্যক্তিত্বকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের এবং আশাব্যঞ্জক।
এছাড়াও এডি ইনডেক্সের র্যাঙ্কিংয়ে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানেরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ।
জানা যায়, এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা সারা বিশ্বের ২০৬ দেশের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
এর মধ্যে গবেষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও ফরেস্ট্রিতে এবং পৃথকভাবে ফরেস্ট্রি উভয় ক্যাটাগরিতে ১ম, দেশে ফরেস্ট্রি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৪র্থ, এশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ১৫১তম এবং সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৮২৫তম স্থান লাভ করেছেন।
সাধারণত এই র্যাঙ্কিং করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৬২ জন, বাংলাদেশের ১ হাজার ৭৯১ জন এবং খুবির ২৯ জন বিজ্ঞানীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চলতি বছরসহ গত পাঁচ বছরের সাইটেশন আমলে নেওয়া হয়।
খুবি উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন একজন নিবেদিতপ্রাণ গবেষক হিসেবে পরিচিত। বন, কৃষি, মৃত্তিকা, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণা খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
সুন্দরবনের ওপর তার নানাধর্মী গবেষণা রয়েছে। এছাড়া তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ। দেশের মধ্যে প্রথম খুবিতে সয়েল আর্কাইভ তার উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন