
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকেই চ্যালেঞ্জ করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে হাজির হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সিএমএসডির পরিচালক। শুরুতেই তিনি কী পরিমাণ পিপিই, এন-৯৫ সরবরাহ করা হয়েছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিতে শুরু করেন।
উল্লেখ্য যে, এর কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ময়মনসিংহের ৮টি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। সেখানে তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।
শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তাকে জানান, স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তারা সেখানে আছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। এ সময়ে সচিবের বক্তব্যের পরপরই মহাপরিচালক কিছু বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, যে পিপিই এবং মাস্কগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হচ্ছে, সেটা মানসম্মত কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে কিনা। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আমি গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এর ছবি পাঠিয়েছি। এখন লাইভ হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী মহানগর হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে বলেন যে, সেখানে যে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে তা যথাযথ নয়। এটা দেখার জন্য তিনি বলেন। এর পরেও ওই পরিচালক তখনো এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সে সময় বলছিলেন যে এখানে লাইভ চলছে আমি সব কথা বলতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রী যখন একটি কথা বলেন তখন তিনি জেনে বুঝে তথ্য প্রমাণ নিয়ে বলেন। এটা সবার বোঝা উচিত। অথচ এই পরিচালক পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে প্রকারান্তরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করলেন। এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুল প্রমানের আপ্রান চেষ্টা করলেন। ওই পরিচালক বলার চেষ্টা করলেন যে, সমস্ত মান যাচাই বাছাই করে পিপিই এবং এন ৯৫ মাস্ক নেওয়া হয়েছে। এখানে উল্টো তিনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপানোর চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন যে, কিছু গণমাধ্যম ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে। তিনি হুমকিও দিলেন যে এই ভুল রিপোর্টের জন্য ভবিষয়তে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দেশের প্রধান নির্বাহী যখন জানেন যে, মাস্ক নিম্নমানের তখন এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ধৃষ্টতা কীভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা পান সেটাই বিস্ময়ের। তাহলে ধরে নিতে হবে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটা সিন্ডিকেট আছে, তারা যেকোনো ভাবে এই মাস্ক সঠিক এবং যথাযথ প্রমাণের জন্য চেষ্টা করছেন?