নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হলে ভোটের শেষে মারামারি হয়: সিইসি

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন যখন তীব্র প্রতিযোগিতামূলক ও হাড্ডাহাড্ডি হয় তখন ভোটের শেষেই মারামারি হয়।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংলাপের দশম দিনে গণফোরামের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের দশম দিনে সিইসি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ‘যখন হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন হয় তখন ভোটের শেষে একটা মারামারি হয়। কালকেও হয়েছে, একটি বাচ্চা মারা গেছে। আমি রাত ১০টায় ফোন করেছি ডিসি এসপিকে, ঘটনাটা কী হলো। ইলেকশনটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষ হয়ে যাওয়ার পরই মেম্বার কেন্ডিডেটরা একজনের ওপর হামলা করে বসেছে।

রাজনৈতিক দলগুলো উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দেশের রাজনীতি আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা শুধু ভোটের বাক্স একটা ভোটার গিয়ে ওখানে কাগজটা ফেলবে, দায়িত্বটা সীমিত।

এদিকে, আজ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা আছে বলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটের দলগুলো ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জনগণ বিশ্বাস করে না।

বাংলাদেশ ন্যাপের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, নির্বাচনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি জনগণও সম্পূর্ণভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এমতবস্থায়, নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজনে সর্বাগ্রে স্বচ্ছ, প্রশ্নমুক্ত, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ ন্যাপ যেকোনো মূল্যে, সবদলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহান মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষে ১১দফা প্রস্তাবনা এবং পরামর্শ উপস্থাপন করে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ভোটের দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল ইসির এ সংলাপ বর্জন করেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ‘না’ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে সংলাপ  বর্জন করেছে ৯টি রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া ২টি দল সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে। এরপর আরও ২টি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপে বসার কথা রয়েছে, যা চলবে এ মাসের শেষ দিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত।#

পূর্বের খবরদুর্ঘটনার কবলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার
পরবর্তি খবররোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ এখন ভিকটিম- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী