রবিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের সেবা করা। এটাই এত বছরে করে আসছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলে যারা জনগণের সেবা করেছে, তাদেরই আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে মানুষ। যারা নিজেদের সেবা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তাদের নির্বাচিত করবে না।’
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ প্রসঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে আর কাকে পাঠানো হবে না; এটা সরকারের কাছে এখন প্রায়োরিটি না। সরকারের প্রায়োরিটি জনগণের সেবা করা। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে না বলা দেওয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। কারণ এর আইনি কোনও সুযোগ নাই। এখন বাকিটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে।’
মামলার জট আগের চেয়ে বেড়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে ২ লাখ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সেটা না হলে জট আরও বেড়ে যেতো।
এসময় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিএনপির উচিত নিজেদের যা কিছু বলার তা সংলাপে অংশ নিয়ে বলা। তাহলে তাদের যেসব প্রশ্ন আছে সেগুলো উত্তর পাবে তারা। যা তাদের জন্য ভালো হবে। সংলাপ সফল হবে নাকি ব্যর্থ, সেটা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির মতামত পেলে তখনই জানা যাবে। এখন যারা এটা বলছে সেটা তাদের মনগড়া কথা বলছেন।