
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ২০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট এক হাজার ১২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। সে তারিখ থেকে আজ ৩৮তম দিন। এদিনেই দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া সাতজন মারা গেছে। নতুন করে কেউ সুস্থ হয়নি।’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন,গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ১২৮টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আইইডিসিআর ব্রিফিং করে দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে রোগী আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায়। সেদিন জানানো হয়, দেশে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন প্রবাসী ভাই। আরেকজন প্রবাসীর স্ত্রী।
এরপর ৯ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ১২ মার্চ জানানো হয়, ৮ মার্চ আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
১৫ মার্চ আরো দুজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। মোট সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচজনে।
১৬ মার্চ আক্রান্ত হয় আরো তিনজন। মোট সংখ্যা দাঁড়ায় আটজনে।
১৭ মার্চ নতুন কেউ আক্রান্ত হয়নি। আরো একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় তিনজনে।
১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।
১৯ মার্চ আরো দুজন আক্রান্ত হয়ে মোট সংখ্যা হয় ১০ জন।
২০ মার্চ নতুন করে আক্রান্ত হয় সাতজন। মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ জনে।
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২১ মার্চ আরো একজন মারা যায়। এ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হয় আরো সাতজন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছায় ২৪ জনে।
২২ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা তিনজন বেড়ে ২৭ জন হয়।
২৩ মার্চ মৃত্যু হয় আরেকজনের। এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ছয়জন বেড়ে ৩৩ জন হয়। সুস্থ হয় আরো দুজন। মোট সুস্থ হয় পাঁচজন।
২৪ মার্চ মৃত্যু হয় আরেকজনের। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ছয়জন বেড়ে ৩৯ জন হয়। সুস্থ থাকে আগের মতো পাঁচজন।
২৫ মার্চ নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু একজন মারা যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচজন। সুস্থ হয় আরো দুজন। মোট সুস্থ হয় সাতজন।
২৬ মার্চ পাঁচজন আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ জনে। আরো চারজন সুস্থ হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে।
২৭ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা চারজন বেড়ে ৪৮ জন হয়। নতুন করে কেউ মারা যায়নি, সুস্থও হয়নি।
২৮ মার্চ নতুন করে কেউ মারা যায়নি, আক্রান্তও হয়নি। সুস্থ হয় আরো চারজন। মোট সুস্থ হয় ১৫ জন। একই চিত্র থাকে পরেরদিনও।
৩০ মার্চ একজন আক্রান্ত হয়ে মোট ৪৯ জন হয়। সুস্থ হয় আরো চারজন। মোট সুস্থ হয় ১৯ জন।
৩১ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা দুজন বেড়ে ৫১ জন হয়। সুস্থ হয় আরো ছয়জন। মোট সুস্থ হয় ২৫ জন।
১ এপ্রিল আরো একজন মারা যায়। মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয় তিনজন। মোট আক্রান্ত হয় ৫৪ জন।
২ এপ্রিল আক্রান্ত হয় দুজন। মোট আক্রান্ত হয় ৫৬ জন।
৩ এপ্রিল আক্রান্ত হয় আরো পাঁচজন। মোট আক্রান্ত হয় ৬১ জন। সুস্থ হয় আরো একজন। মোট সুস্থ হয় ২৬ জন।
৪ এপ্রিল দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় আটজনে। আক্রান্ত হয় আরো নয়জন। মোট আক্রান্ত হয় ৭০ জন। সুস্থ হয় চারজন। মোট সুস্থ হয় ৩০ জন।
৫ এপ্রিল নতুন করে ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৮ জনে। নতুন করে কেউ মারা যায়নি, সুস্থও হয়নি।
এরপর ৬ এপ্রিল চারজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ১২ জনের। সুস্থ হয় আরো তিনজন। মোট সুস্থ হয় ৩৩ জন। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৩৫ জন বেড়ে ১২৩ জন হয়।
এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ৩০ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে।
৭ এপ্রিল আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ১৭ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় আরো ৪১ জন। মোট আক্রান্ত হয় ১৬৪ জন।
৮ এপ্রিল আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ২০ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৫৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮ জনে।
৯ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ১১২ জন বেড়ে যায়। মোট আক্রান্ত হয় ৩৩০ জন। মৃত্যু হয় আরো একজনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ জন।
১০ এপ্রিল মৃত্যু হয় ছয়জনের। মোট মৃত্যু হয় ২৭ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৯৪ জন। মোট আক্রান্ত হয় ৪২৪ জন।
১১ এপ্রিল আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ৩০ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় ৫৮ জন। মোট আক্রান্ত হয় ৪৮২ জন। অনেক দিন পর তিনজন সুস্থ হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ জনে।
১২ এপ্রিল আরো চারজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় ১৩৯ জন। মোট আক্রান্ত হয় ৬২১ জন। সুস্থ হয় আরো তিনজন। মোট সুস্থ হয় ৩৯ জন।
গত ১৩ এপ্রিল আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মোট মৃত্যু হয় ৩৯ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয় ১৮২ জন। মোট আক্রান্ত হয় ৮০৩ জন। সুস্থ হয় আরো তিনজন। মোট সুস্থ হয় ৪২ জন।
আজ ১৪ এপ্রিল আইইডিসিআর ব্রিফিং করে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যুর কথা জানায়। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ জনে। নতুন করে আক্রান্ত হয় রেকর্ড ২০৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১২ জন। নতুন করে কেউ সুস্থ হয়নি। এর ফলে আগের মতোই ৪২ জন সুস্থ হয়েছে।