টেকনাফে ক্রসফায়ারের ঘটনায় মামলা
এপিবিএন’র আরও দুই সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি * আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা রামু থানা ওসির
শফিউল্লাহ শফি, কক্সবাজার ২৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

একইদিন সিনহা হত্যা মামলায় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার দুই আসামি- এপিবিএন সদস্য এএসআই শাহাজান ও কনস্টেবল রাজিব।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
এর আগে বুধবার একই আদালতে আরেক আসামি এপিবিএন কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে সিনহা হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন এএসআই শাহাজাহান ও কনস্টেবল রাজিব। দু’জনেই প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দেন।
তারা জানান, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং এসআই নন্দ দুলাল এপিবিএনের চেকপোস্টে এসেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
পদমর্যাদা আমাদের উপরে থাকায় আমরা তাদের বাধা দিতে পারিনি। তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে শিকারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাদের আচরণ ছিল অপেশাদার এবং উচ্ছৃঙ্খল।
এপিবিএনের এ দু’সদস্য জবানবন্দিতে আরও বলেন, ঘটনার সময় তারা সিনহার হাতে কোনো অস্ত্র দেখেননি। তাকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হলে দুই হাত উঁচু করে নামেন।
এ সময় তিনি (সিনহা) ‘কাম ডাউন কাম ডাউন’ বলছিলেন। সিনহা গাড়ি থেকে নামার পর প্রথমে তাকে ২ রাউন্ড গুলি করা হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আরও ২ রাউন্ড গুলি করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কক্সবাজারের রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।
সিনহা নিহত হওয়ার পর তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের কাছ থেকে উদ্ধার মালামাল নিয়ে দুটি জব্দ তালিকা করায় এ ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের ৭ জুলাই টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়নের হোয়াইক্যংয়ের মহেশখালীয়া পাড়ার সিএনজিচালক আবদুল জলিল ক্রসফায়ারে নিহত হন।
তাকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ওই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর সিএনজিচালক জলিলকে কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে আটক করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া। এরপর তাকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউরের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ওই দারোগা মশিউর জলিলকে নিয়ে টেকনাফ থানায় রাখেন এবং তাকে পুলিশ ধরেনি বলে স্ত্রীসহ আত্মীয়স্বজনদের কাছে নানা লুকোচুরি করেন। একপর্যায়ে সানোয়ারাকে জানানো হয়, জলিলকে ইয়াবা ব্যবসার অপরাধে ক্রসফায়ার দেয়া হবে।
যদি স্বামীকে বাঁচাতে চান তাহলে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে।
স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে সানোয়ারা স্থানীয় এক দফাদারকে নিয়ে প্রদীপের হাতে পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন। টাকা নিয়েও জলিলকে ছেড়ে না দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়ে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সানোয়ারা বেগম জানান, একপর্যায়ে দীর্ঘ ৮ মাস পর চলতি বছরের ৭ জুলাই স্বামী আবদুল জলিলকে তার নিজ বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে ওসি প্রদীপসহ মামলার আসামিরা।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে হত্যা মামলা করা হয় বলে জানান মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মুনিরুল ইসলাম।
বাদীর আইনজীবী মুনিরুল ইসলাম জানান, এ হত্যার ঘটনায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন- বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া, এএসআই আরিফুর রহমান, সুজিত চন্দ্র দে, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রামচন্দ্র দাস, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব ও দফাদার আমিনুল হক।
মনিরুল ইসলাম আরও জানান, আদালত শুনানি শেষে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে টেকনাফ থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা- তা জানানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুরে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দ্বিতীয় দফার ৪ দিনের রিমান্ডে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে রয়েছেন।
দুই আসামির স্বীকারোক্তি : বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে র্যাবের একটি বহর সিনহা হত্যা মামলার দুই আসামি- এপিবিএন সদস্য এএসআই শাহাজান ও কনস্টেবল রাজিবকে নিয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে বিচারকের খাসকামরায় হাজির হন।
পরে আইনানুযায়ী স্ব-ইচ্ছায় জবানবন্দি দেয়ার ব্যাপারে তাদের সময় দেন আদালত। একপর্যায়ে বিকাল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুই এপিবিএন সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ যুগান্তরকে বলেন, কক্সবাজারের ১৬-এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্যকে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শনিবার (২২ আগস্ট) রিমান্ডে নেন। তাদের তিনজনের ২৮ আগস্ট রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এর মধ্যে বুধবার (২৬ আগস্ট) কনস্টেবল আবদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় ওইদিন তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
একইভাবে এপিবিএনের বাকি দুই সদস্য বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সিনহা হত্যা মামলায় নিজেদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- এএসআই শাহাজান ও কনস্টেবল রাজিব।
তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
নিহত সিনহার বোনের করা হত্যা মামলায় ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয় র্যাব-১৫ কার্যালয়ে। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে শনিবার (২২ আগস্ট) কক্সবাজার কারাগার থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।
এদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি র্যাবের হেফাজতে থাকা বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালের দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার।
কিন্তু তাদের এদিন আদালতে হাজির করেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তবে ওসি প্রদীপের জামিনের জন্য চট্টগ্রাম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এহেছানুল হক হেনার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি আইনজীবীর প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আদালতে হাজির হয়।
কিন্তু প্রদীপকে আদালতে হাজির না করায় তারা আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেননি বলে জানান।
আইনজীবী এহেছানুল হক হেনা যুগান্তরকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড শেষ হওয়ার পরও তাকে আদালতে হাজির করেননি। যা আইনগতভাবে সঠিক নয়।
তার হেফাজতে রাখার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন আদালত। নির্ধারিত সময় শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা উচিত ছিল। তবে কেন করা হয়নি তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী।
বরখাস্ত ওসি প্রদীপের জামিন আবেদন করতে আসা ব্যারিস্টার সাঈদ করিম জানান, আইনের ধারামতে একটি মামলায় সর্বোচ্চ ১৫ দিন রিমান্ডে নিতে পারেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
কিন্তু সিনহা হত্যা মামলায় যা করা হচ্ছে তা আইনগতভাবে সঠিক হচ্ছে না। রিমান্ডের দিন শেষ হওয়ার পরও তদন্ত কর্মকর্তা নিজের ইচ্ছায় তাকে তার হেফাজতে রেখে দিচ্ছেন।
পাশাপাশি আদালতের সময় ৫টা পর্যন্ত বেঁধে দেয়া থাকলেও তা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, আদালতের নির্ধারিত সময়ের বাইরে আসামিদের হাজির করা হচ্ছে।
জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. মোকাম্মেল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন ১০ আসামি।
তারা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের তিন সদস্য এএসআই শাহাজান, কনস্টেবল আবদুল্লাহ ও রাজিব।
পাশাপাশি রয়েছেন পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী- নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
আর র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন- বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত।
এদিকে এপিবিএনের দুই সদস্যের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
তবে তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর ১৬ এপিবিএনের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে টেকনাফ থানা পুলিশ।
পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করে রামু থানা পুলিশ। একপর্যায়ে পৃথক মামলায় দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা দু’জনই এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় বর্তমানে টেকনাফ থানার ৭ পুলিশ, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষী ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (১৬-এপিবিএন) ৩ পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
ওসির ক্ষমা প্রার্থনা : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার পর শিপ্রা দেবনাথের কাছ থেকে উদ্ধার মালামাল নিয়ে পৃথক দুটি জব্দ তালিকা তৈরি এবং একটির সঙ্গে অপরটির মিল না থাকায় আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কক্সবাজারের রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়ের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোছাইনের আদালতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাহাবুব আলম টিপু জানান, নীলিমা রিসোর্ট থেকে ২৯টি সামগ্রী জব্দ করে রামু থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় দুটি জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়। দুটির মধ্যে অমিল থাকায় ব্যাখ্যা জানতে ওসি আবুল খায়েরকে তলব করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেন ওসি আবুল খায়ের। একই সঙ্গে লিখিত শোকজের জবাবও জমা দেন তিনি।
Source- Jugantor