ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ইউএনএফপিএর সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। আর যা চীনের ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। অর্থাৎ চীনের চেয়ে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ বেশি। ১৯৫০ সাল থেকে জাতিসংঘ জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা শুরুর পর এবারই প্রথম চীনের জনসংখ্যাকে ছাড়াল ভারত।
ইউএনএফপিএর সমীক্ষায় বলা হয়, ভারতের এ বিপুল জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বয়স ১৪ বছরের কম, ৬৯ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে আর বাকি ৭ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। যদিও জনসংখ্যার ব্যাপারে সাম্প্রতিক উপাত্ত নেই ভারতের। দেশটির সর্বশেষ জনসংখ্যা জরিপ হয়েছিল ২০১১ সালে।
অন্যদিকে, চীনে নানা কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া কর্মক্ষম মানুষের অভাব দেখা দিচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জন্মহার বৃদ্ধির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু জনসংখ্যা হ্রাসের হার কমানো যাচ্ছে না।
ইউএনএফপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়তই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এমন দেশে বসবাস করছে, যেখানে জন্মহার অনেক কম। আবার ভারতসহ আটটি দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৫০ শতাংশের জন্য দায়ী হবে।