করোনার টিকা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে বয়স্ক লোকদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। কারণ বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা জানান। তিনি জানান, এখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। বিভিন্নভাবে মোট ২১ কোটি করোনার টিকা আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত শনিবার বলেছিলেন, গ্রামে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে অনলাইন নিবন্ধন ছাড়াই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরে সেসব নাম অনলাইনে নিবন্ধন করে নেওয়া হবে।
দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩৫ দিন টিকা দেওয়া হয়েছে। চার ধরনের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ দৈনিক গড়ে ৮৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছেন।
দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার, ফাইজারের ১ লাখ, সিনোফার্মের ৫১ লাখ এবং মডার্নার ৫৫ লাখ।
১২টি সিটি করপোরেশন ছাড়া দেশের অন্য সব জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ১২ লাখের বেশি মানুষকে।
মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকার মজুত আছে ৫০ লাখের বেশি। কিন্তু দৈনিক এই টিকা দেওয়ার পরিমাণ কম।