বুধবার (১৮ অক্টোবর) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতারা একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আগামী ১৬ অক্টোবর দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় যুব মিছিল করবে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় যুব মিছিল করবে। এছাড়া, ১৮ অক্টোবর বিএনপি যুব মিছিল করবে। তবে এখনও স্থান নির্ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
২০ অক্টোবর তেজগাঁওয়ে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। তবে নির্দিষ্ট কোথায় সমাবেশ হবে তা এখনও জানায় ক্ষমতাসীন দলটি। ২৩ অক্টোবর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ। ২৫ অক্টোবর রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে মিছিল বের করবে আওয়ামী লীগ।
২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের দিন আনন্দ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ। তবে কোথা থেকে মিছিলটি শুরু হবে তা এখনও জানায়নি দলটি। ওই মিছিলে অংশ নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে বিএনপি। তাদের মিছিলও কোথা থেকে শুরু হবে সেটি এখনও অজানা। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির মিছিলে জনসমাগম হবে।
২৯ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় মেট্রোরেল উদ্বোধন শেষে সমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি নেতারা চলতি বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। বিএনপির হাই-কমান্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে অবস্থান করবে ও রাজধানীর সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, নির্বাচন কমিশনের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে রাখবে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি সমাবেশের মধ্যেই আগামী দিনগুলোতে জামায়াতও আন্দোলনে শামিল হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বঘোষণা না দিয়েই তারা রাজপথে মুখোমুখি হবে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিধিনিষেধের সম্মুখীন হলে কর্মসূচি বাতিল করতে পারে এসব দল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের যুদ্ধংদেহী অবস্থান দেশের রাজনীতিকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। সামনের দিনগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার ও পেশীশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে মুহুর্মুহু সংঘর্ষের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
ইত্তেফাক