হামলার পর বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টুইটার থেকে জানানো হয় যে, কোনো বৃটিশ সেনাসদস্য বা কর্মকর্তা এই হামলায় হতাহত হননি। হামলা নিয়ে শুক্রবার বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি এই হামলাকে ‘বর্বরতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। জনসন বলেন, বৃটিশ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই হামলাই প্রমাণ করে এই উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা কতটা জরুরি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাবুল বিমানবন্দর হামলা নিয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের দোসরদের বিরুদ্ধে বিশ্বের যে এক হয়ে কাজ করা উচিত তাই আবারও প্রমাণ করলো এই হামলা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অসিম ইফতেখার এই হামলাকে জঘন্য কর্মকা- বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি হামলার নিন্দা ও হতাহতের পরিবারের প্রতি শোক জানান।
শুক্রবারেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফটালি বেনেটের। কাবুল বিমানবন্দরের হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীও। টুইটারে তিনি মার্কিন সেনাদের নিহত হওয়া নিয়ে শোক জানান। তিনি লিখেছেন, ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সকল কঠিন সময়ে পাশে আছে। যুক্তরাষ্ট্রও সবসময় ইসরাইলের পাশে ছিল। ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন টুইটারে এই হামলাকে কাপুরোষচিত এবং বর্বর বলে আখ্যায়িত করেন। সঙ্গে উল্লেখ করে, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যা যা দরকার তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আফগানিস্তানসহ সমগ্র বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ থামাতে আন্তর্জাতিক মহলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও জটিল ও ভক্সগুর। এক বিস্ফোরণ নিয়ে চীন হতভম্ব। এছাড়া এই হামলার আরও নিন্দা জানিয়েছে কাতার, জর্ডান, বাহরাইন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, তুরস্ক, ইতালি, সুইডেন, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেন।