
তবে আমেরিকার অভিযোগ, শুরু থেকে চীন এই ভাইরাসের সম্পর্কে জানালে এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়তো হত না। কিন্তু চীন যে প্রথমদিকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা গোপন করেছিল তার একাধিক প্রমাণ আগেও মিলেছে। উহান প্রদেশের ভয়ঙ্কর অবস্থা এই তিনজন সবার প্রথমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন। গত দুমাস ধরে এই তিনজন নিখোঁজ।
শুরুর দিকে করোনার ভয়াবহতা নিয়ে যারাই মুখ খুলেছেন তারাই চীন সরকারের রোষের মুখে পড়েছেন। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। উহানের ভয়াবহ অবস্থা সারা বিশ্বকে শুরু থেকেই দেখাতে চেয়েছিলেন এই তিনজন।
এই তিনজন উহান শহরের ভিতরের অবস্থা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তিনজন নিখোঁজ। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।
চিন সরকার তাদের সম্পর্কে কোনো বক্তব্য রাখতে নারাজ। অনেকেই দাবি করেছিলেন, চীনা সরকার রাতের অন্ধকারে প্রচুর করোনা আক্রান্তের লাশ নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। মৃতের আসল সংখ্যা গোপন করছে চীন সরকার। এমন অভিযোগও করেছিলেন অনেকে।
উহানের একটি হাসপাতালের বাইরে মিনিবাসে লাশের স্তুপের ভিডিও করে প্রকাশ করেছিলেন ফ্যাং। অনেক রোগী হাসপাতালের বাইরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এবং ডাক্তাররা এত রোগী দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন, ভিডিওতে এমন অনেক দৃশ্যও ছিল।
৩৪ বছর বয়সী অ্যাক্টিভিস্ট চেন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন সেখানে দেখা গিয়েছিল, উহানের এক হাসপাতালে একজন মহিলা হুইলচেয়ারে মৃত আত্মীয়ের লাশ নিয়ে বসে রয়েছেন। কাউকে ফোন করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরই তিনিও হুইল চেয়ারেই মারা যান।
২৫ বছর বয়সী সাংবাদিক লি জেহুয়া চিনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভিতে কাজ করতেন। উহানের ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়েছে, এমন দাবি করে রিপোর্ট করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে আর তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জিনিউজ।