বাংলাদেশে যে কয়টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দালালি করে যাচ্ছে এবং ইসলাম বিদ্বেষী সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচার করে জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করছে তার মধ্যে অন্যতম হল একাত্তর টিভি।
এই চ্যানেলটি চালু হওয়ার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে ইসলাম, মুসলমান, ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি, কুরআন-সুন্নাহ, নারীদের পর্দা ও এদেশের ইসলামী দলগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষোদগার করে যাচ্ছে। একাত্তর টিভির মূল টার্গেট হলো এদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।
তবে, অতি বাড়াবাড়ির ফল যে ভাল হয় না সেটাও এখন বুঝতে পারছে একাত্তর টিভির দালালরা।
সম্প্রতি ভিপি নুরসহ দেশের শীর্ষ আলেমরা একাত্তর টিভি বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেখা গেছে, তাদের এই আহ্বানের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একাত্তর টিভি বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এরপর থেকেই একাত্তর টিভির ফেসবুক পেইজ থেকে লাখ লাখ বেরিয়ে গেছে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো-একাত্তর টিভি যখন ধসে পড়েছে, ঠিক তখনই সাংবাদিক নামের একদল দালাল ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। তাদের ভাষায়-ভিপি নুরের বক্তব্য নাকি অগণতান্ত্রিক ও গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। বক্তব্য প্রত্যাহার করে ভিপি নুরকে তারা ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
দেখা গেছে, আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো-গণমাধ্যম বর্জনের ডাক কি শুধু ভিপি নুরই দিয়েছে? এর আগে কি এদেশে গণমাধ্যম বর্জনের ডাক দেয়া হয়নি?
দেখা গেছে, ২০১৩ সালে শাহবাগের কথিত গণজাগরণ মঞ্চের নামে আওয়ামী মঞ্চ থেকে দৈনিক আমারদেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলমিক টিভি, দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকা বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছিল। এমনকি নয়াদিগন্ত পত্রিকার অফিসে শাহবাগের দৃর্বৃত্তরা হামলাও চালিয়েছিল।
ওই সময় কথিত সাংবাদিক নেতা ইশতিয়াক রেজা, আবু জাফর সুর্য, নাইমুল ইসলাম খানরা কোথায় ছিলে? তখন আপনাদের গণতান্ত্রিক চেতনা কোথায় ছিল? শাহবাগ থেকে গণমাধ্যম বর্জনের ডাক দেয়া কি গণমাধ্যমের জন্য হুমকি ছিল না? তখন তারা চুপ ছিলো কেন?
এদেশের মানুষ জানে তারা তখন কেন চুপ ছিল। কথিত গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে এসব দালাল সাংবাদিকরা কোটি কোটি টাকা পকেটে ঢুকিয়েছিল।
তারপর, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় প্রথম আলো পত্রিকা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল।
সাংবাদিক নামের দালালরা তখন নিরব ছিল কেন? জয়ের গণমাধ্যম বর্জনের ঘোষণা কি গণতান্ত্রিক ছিল? সেটা কি গণমাধ্যমের জন্য হুমকি ছিল না?