ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি করেন।

রিটে ইভিএম সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়েছে, ‘ইভিএম সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬(এ) অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ অনুচ্ছেদ ৯৩ বলে কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে।
২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএমের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ছয়টিতে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। এছাড়া সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগণের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার বিধান আছে, যন্ত্রের মাধ্যমে নয়।
যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই-বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে।’ রিটে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন (ইভিএম সংক্রান্ত) পাস করতে জনগণের গণভোট নেয়া হয়নি। ওই আইন সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।